শীতের মৌসুম মানেই খেজুর গুড় (khejurer Gur) । এই খেজুরের গুড় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিজাত খাদ্যসমূহের মধ্যে অন্যতম, যা বিশেষ করে শীতকালে আমাদের খাদ্য তালিকায় অনন্য স্থান দখল করে নেয়। খেজুরের রসে তৈরি গুড় যে শুধু সুস্বাদু তা-ই নয়, এতে রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা যা শরীরের পুষ্টি ও শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি শুধুমাত্র স্বাদে অনন্য নয়, বরং বিভিন্ন পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অসাধারণ।
আমাদের খেজুর গুড়ের বৈশিষ্ট্য ঃ
- সম্পূর্ণ নিজেদের তত্ত্বাবধানে পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খেজুরের খাঁটি গুড় প্রস্তুত করা হয় ।
- প্রথমে খেজুরের রস ভালোভাবে ছেঁকে পরিষ্কার পাত্রে রাখা হয়।
- এরপর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় জ্বাল দেওয়া হয়, ফলে গুড়ের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
- কৃত্রিম চিনি, রাসায়নিক রঙ, হাইড্রোজ, ফিটকিরি সহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। তাই ১০০ ভাগ খাটি ও প্রাকৃতিক।
- গুড় তৈরি শেষ হলে পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করা হয় এবং উন্নত প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে আপনার হাতে সুরক্ষিত অবস্থায় পৌঁছায় দেয়া হয়।
খেজুরের গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা
খেজুরের গুড়ে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্য ও শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিচে কিছু প্রধান উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
- প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার
খেজুরের গুড়ে থাকা কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি যোগায়, যা কর্মব্যস্ত দিনেও শরীরকে সজীব রাখতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে শর্করা ও মিনারেলসমৃদ্ধ হওয়ায় এটি চিনির চমৎকার বিকল্প হিসেবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। - উচ্চ পুষ্টিগুণ
খেজুরের গুড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। বিশেষ করে রক্তশূন্যতায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য এটি বেশ উপকারী, কারণ গুড়ে প্রচুর আয়রন আছে যা রক্তের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়ক। - হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক
গুড় হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। খাবার পর খেজুরের গুড় খেলে হজমশক্তি বাড়ে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। - রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
যদিও গুড় মিষ্টি, তবুও এটি গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে কম হওয়ায় রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়ায়। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও এটি নিরাপদে গ্রহণ করতে পারেন, তবে অবশ্যই পরিমিত মাত্রায়। -
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতকালে ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন এক চামচ খেজুরের গুড় খাওয়া উপকারী। এতে থাকা সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের কোষগুলোকে মজবুত করে এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়।
-
শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা
শীতকালে বা ধুলাবালি ও দূষণের কারণে অনেকেই শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যায় ভোগেন। খেজুরের গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলি শ্বাসনালীকে সুরক্ষিত রাখে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে। এটি ফুসফুসের জন্য উপকারী এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। সর্দি, কাশি বা গলা ব্যথার ক্ষেত্রে গুড়ের ব্যবহার বিশেষ উপকারী।
Reviews
There are no reviews yet.